Login

Lost your password?
Don't have an account? Sign Up
……

تأريخ رسم خطوط العربية وأنواعها আরবি লিপিশৈলীর ইতিহাস ও প্রকারসমূহ

-মুশাহিদ দেওয়ান

মৌলিকভাবে رسم خطوط اللغة العربية (আরবি লিপিশৈলী) তিন প্রকার। যথা:

প্রথম প্রকার: رسم خطّ المصحف العثماني أو الخط القرآني أو الرسم العثماني

এটাকে ”কুরআনলিপি” বলে। এটাতে কোন দিন পরিবর্তন হবে না। যেভাবে সালাফ থেকে যুগযুগ ধরে বর্ণিত ও লিখিত হয়ে আসছে সেভাবেই আমাদের লেখতে হবে। এজন্য আমাদের ইউনিভার্সিটির গবেষণাপত্র লেখায় শর্ত থাকে যে, পবিত্র কুরআনের আয়াত رسم المصحف العثماني খত্তে হতে হবে। কিন্তু অন্য লেখা Traditional Arabic ফন্টে থাকবে।

দ্বিতীয় প্রকার:  رسم الخطّ العروضي বা ইলমুল আরুদ্বের লিপি:

এটা আরবি কবিতার ছন্দ তথা  أوزان অনুযায়ী হবে। যেমন সাধারণ লিপির كتابٌ শব্দটি ইলমুল আরুদ্বে হবে كتابُنْ
উল্লেখ্য, এই লিপি শুধুমাত্র تقطيع الأبيات الشعرية এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমাদের সাধারণ লেখায় প্রযোজ্য নয়।

তৃতীয় প্রকার :  الخطّ العربي العادي বা আরবি সাধারণ লিপিরীতি: 

এটি আমাদের লেখায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত প্রাচীন ও আধুনিক কিতাবে মূলত এই রীতিই অনুসরণ করা হয়েছে। এই তৃতীয় প্রকারের অভ্যন্তরে আবার অনেক أنواع বা প্রকারভেদ আছে। যেমন –خطّ الثلث أو خط الرقعة أو الخط الديواني أو الخط الكوفي أو الخط الأندلسي
অর্থাৎ প্রচলিত যেসব বিভক্তির নাম আমরা শুনি তা মূলত এই তৃতীয় প্রকারের শাখাগত প্রকার।
এই হলো আরবি খত্তের মৌলিক তিনটি প্রকার। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা আছে।
সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত مصحف المدينة المنورة তে رسم الخط العثماني অনুসরণ করা হয়েছে। তদ্রুপ আরব বিশ্ব থেকে প্রকাশিত সকল মুদ্রণে قواعد الإملاء الحديثة অনুসরণ করা হয়।
প্রশ্ন: প্রাচীন তুরাছের মাখতুতগুলোতে প্রচলিত ইমলা নেই কেন?
এই প্রশ্ন আমাদের অনেক ছাত্রভাই করে থাকেন। এর উত্তর হচ্ছে, প্রাচীনকালের  مخطوط তে আজকের প্রচলিত ইমলা না থাকার অনেক কারণ আছে। যেমন- 
(১) অধিকাংশ লেখক তাদের মাখতুত বা পান্ডুলিপি নাসিখদের (লিপিকার) দিয়ে লেখাতেন। নাসিখদের ভাষাগত দক্ষতা কম ছিল। তাই তাদের থেকে إملاء কমতি হয়েছে। 
(২) তাছাড়া তখন আজকের মতো লেখার উপকরণ এত সহজ ছিল না। ছিল না আধুনিক কম্পোজপদ্ধতি। ছিল না এত সুন্দর সুন্দর কলম ও খাতা। আবার দোয়াতের কালি ছিল খুব ব্যয়বহুল। আজকের মতো এমন কাগজও ছিল না। তাই অনেক কিছু তারা ইশারা ইঙ্গিত দিয়ে বুঝাতেন, যেন কালি কম লাগে। উদাহরণস্বরূপ একটি কিতাবের সকল পৃষ্ঠায় যদি في লিখতেন তাহলে ياء এর নিচে দুই নুকতার কারণে অতিরিক্ত কালি খরচ হতো। কারণ পুরো কিতাবে অনেক في হবে। তাই সেটাকে তারা নুকতা ছাড়া লিখতেন। বিষয়টি বর্তমানে যদিও অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা এমনই ছিল।
তাছাড়া আরবি লিপির ক্রমবিকাশ যুগে যুগে সাধিত হয়েছে। একেবারে প্রাচীনকালে কোন হরফেই নুকতা দেওয়া হতো না। উদাহরণস্বরূপ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ কে এভাবে الدىـں يوِمــوں ىـالعىىـ লেখা হতো। তাদের তীক্ষ্ণ ও প্রখর যোগ্যতার কারণে তারা পড়তে পারতেন। পরবর্তীতে ইমাম নছর বিন আছিম আল লাইছি (মৃত ৮৯ হি.) সর্বপ্রথম  বা নুকতা আবিষ্কার করেন। ফলে ب হরফে এক নুকতা ت তে দুই নুকতা ث তে তিন নুকতা দিয়ে পার্থক্য করা হয়। আমাদের সালাফদের ঐকান্তিক মুজাহাদার ফলে আমরা আজকে আরবি ভাষা পরিপূর্ণরূপে বিকশিত অবস্থায় পেয়েছি। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। 
 
মদিনা ইউনিভার্সিটি
৩০ এপ্রিল ২০২৪